আপনি কি জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন সম্পর্কে জানতে চান?  তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন (JCF) বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। ১৯৭৫ সাল থেকে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থাটি বিশেষ করে গ্রামীণ ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মাইক্রোফাইন্যান্স বা ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন পদ্ধতি
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন পদ্ধতি

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন গ্রহীতাদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ও সহজ সমাধান। যা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা বা জীবনমান উন্নত করতে সহায়তা করে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, যোগ্যতা, সুদের হার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তবে প্রথমেই আমরা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কাজ সম্পর্কে জেনে নিবো।

Table of Contents

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কাজ কী?

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ৫০টির অধিক জেলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা। তাদের কিছু উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হলো:

  • মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম: ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসা ও আয়বর্ধনমূলক কার্যক্রমে সহায়তা।
  • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: দরিদ্র নারী-পুরুষদের জন্য ব্যবসায়িক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান।
  • স্বাস্থ্য ও পুষ্টি: গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি সচেতনতা।
  • কৃষি উন্নয়ন: কৃষকদের জন্য ঋণ ও কৃষি প্রশিক্ষণ।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন প্রধানত তাদের মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রামের একটি অংশ। যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন সম্পর্কে বিস্তারিত

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের লোন প্রোগ্রামটি বিশেষভাবে গ্রামীণ ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই লোন কৃষি, ব্যবসা, গবাদিপশু পালন ও অন্যান্য আয়বর্ধনমূলক কাজের জন্য প্রদান করা হয়। লোনের পরিমাণ, সুদের হার এবং পরিশোধের নিয়ম নির্ভর করে ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা ও লোনের অর্থে বিনিয়োগের প্রকল্পের (কাজের) ধরনের উপর।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন কত টাকা পাওয়া যায়?

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন থেকে সাধারণত ৫,০০০ টাকা থেকে ৪৯,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়। তবে, ঋণের পরিমাণ নির্ভর করে প্রকল্পের ধরন ও ঋণগ্রহীতার পরিশোধ ক্ষমতার উপর। কিছু ক্ষেত্রে, বড় প্রকল্পের জন্য এর চেয়ে বেশি পরিমাণের লোনও দেওয়া হতে পারে। লোনের অর্থ কম বেশি নির্ভর করে গ্রাহকের চাহিদা ও গ্রাহকের লেনদেন ও আর্থিক সচ্ছলতার উপর। 

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোনের প্রকারভেদ

বাংলাদেশের অন্যান্য এনজিও এর মতো জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। এ সকল লোনের প্রকারের মধ্যে রয়েছে। তা নিম্নরূপ:

  • কৃষি ঋণ: কৃষি উৎপাদন, ফসল চাষ, এবং গবাদিপশু পালনের জন্য।
  • ব্যবসায়িক ঋণ: ছোট ব্যবসা শুরু বা সম্প্রসারণের জন্য।
  • নারী উদ্যোক্তা ঋণ: নারীদের জন্য ব্যবসায়িক প্রকল্পে সহায়তা।
  • জরুরি ঋণ: স্বাস্থ্য বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনের জন্য।
  • শিক্ষা ঋণ: শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ব্যয় মেটানো।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন এর প্রতিটি প্রকার লোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যাতে ঋণগ্রহীতারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ঋণ নির্বাচন করতে পারেন। লোনের প্রকার ভেদে সুদের হার পরিবর্তন হয়ে থাকে। 

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোনের যোগ্যতা

বাংলদেশের অন্যান্য এনজিও ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ন্যায় জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন থেকে লোন পেতে নিম্নলিখিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:

  • বয়স: আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং সাধারণত ৬০ বছরের কম হতে হবে।
  • নাগরিকত্ব: বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
  • আয়ের উৎস: ঋণ পরিশোধের জন্য নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে।
  • গ্রুপ সদস্যতা: অনেক ক্ষেত্রে, ঋণ পেতে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের গ্রুপ সদস্য হতে হয়।
  • প্রকল্প পরিকল্পনা: ঋণের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবসা বা প্রকল্প পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোনের কাগজপত্র

লোনের জন্য আবেদন করতে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন:

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২-৩টি)
  • ব্যবসায়িক পরিকল্পনা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার চেয়ারম্যানের সনদপত্র
  • গ্যারান্টারের তথ্য (প্রয়োজন হলে)
  • ট্রেড লাইসেন্স (বড় ব্যবসার জন্য)

এসকল কাগজপএ ছাড়া আর কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হলে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা আপনাকে এ বিষয়ে অবহিত করবেন। 

আরও জানতে পারেনঃ অংকুর পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র লোন (আপডেট তথ্য)

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোনের সুদের হার

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের লোনের সুদের হার সাধারণত ১০-২৫% এর মধ্যে থাকে। তবে, এই হার প্রকল্পের ধরন ও ঋণের মেয়াদের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি ঋণের সুদের হার ব্যবসায়িক ঋণের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। আবার ১ বছরের ঋণের সুদের হার থেকে ২ বছর  বা ৩ বছরের সুদের হার বেশি হবে। 

লোন পরিশোধের নিয়ম

  • কিস্তি পদ্ধতি: ঋণ সাধারণত সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। বছরে মোট ৪৬টি কিস্তি প্রদান করা যায়।
  • গ্রেস পিরিয়ড: কিস্তি পরিশোধের জন্য ১৫ দিনের গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হয়।
  • অগ্রিম পরিশোধ: ১৫ সপ্তাহের কিস্তি অগ্রিম পরিশোধ করা যায়, যা ঋণগ্রহীতার জন্য সুবিধাজনক।
  • বিকাশ: বর্তমান সময়ে বিকাশের মাধ্যমে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন এর লোন পরিশোধ করা যায় খুব সহজে। 

লোন পরিশোধের প্রক্রিয়া বিকাশের মাধ্যমে

বিকাশের মাধ্যমে লোন পরিশোধ করতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

  • বিকাশ অ্যাপটি খুলুন।
  • মাইক্রোফাইনান্স অপশনটি নির্বাচন করুন।
  • “জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন” অপশনটি নির্বাচন করুন।
  • আপনার সদস্য নম্বর বা সদস্য কোড প্রদান করুন।
  • এগিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন।
  • লোন পরিশোধের কিস্তির পরিমাণ ও সঞ্চয় প্রদান করে আপনি এগিয়ে যান বাটনে ক্লিক করে ট্যাপ করে ধরে রাখুন।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন পরিশোধের নিয়মগুলো ঋণগ্রহীতার জন্য সহজ এবং সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী।

আরও জানতে পারেনঃ আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন (আপডেট তথ্য)

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোনের সুবিধা ও অসুবিধা

সুবিধা

  • সহজ প্রক্রিয়া: লোনের আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত।
  • নমনীয় কিস্তি: সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধের সুবিধা।
  • নারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ প্রকল্প।
  • প্রশিক্ষণ সুবিধা: ঋণগ্রহীতাদের জন্য ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ প্রদান।
  • নিম্ন সুদের হার: ব্যাংকের তুলনায় তুলনামূলক কম সুদের হার।

অসুবিধা

  • গ্রুপ সদস্যতার বাধ্যবাধকতা: অনেক ক্ষেত্রে গ্রুপ সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক।
  • সীমিত পরিমাণ: বড় প্রকল্পের জন্য ঋণের পরিমাণ সীমিত হতে পারে। তবে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন আপনাকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করার চেষ্টা করবেন।
  • কাগজপত্রের প্রয়োজন: কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হয়। তবে এটি আবেদনকারীকে ভেরিফাই করার জন্য। 

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোনের তুলনামূলক তালিকা

লোনের ধরন

পরিমাণ

সুদের হার

প্রধান উদ্দেশ্য

কৃষি ঋণ

৫,০০০-৪৯,০০০ টাকা

১০-২২%

ফসল চাষ, গবাদিপশু পালন

ব্যবসায়িক ঋণ

১০,০০০-৪৯,০০০ টাকা

১০-২৫%

ছোট ব্যবসা শুরু/সম্প্রসারণ

নারী উদ্যোক্তা ঋণ

৫,০০০-৩০,০০০ টাকা

১০-২৩%

নারীদের ব্যবসায়িক উদ্যোগ

জরুরি ঋণ

৫,০০০-২০,০০০ টাকা

১০-২৫%

স্বাস্থ্য বা জরুরি প্রয়োজন

বাস্তব উদাহরণ

রেহানা বেগম, যশোরের একজন গৃহিণী, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন থেকে ২০,০০০ টাকার একটি ব্যবসায়িক ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি এই টাকা দিয়ে একটি ছোট মুদি দোকান শুরু করেন। ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি ব্যবসা পরিচালনার কৌশল শিখেন এবং বর্তমানে মাসে ১৫,০০০ টাকার বেশি আয় করছেন। তার ঋণের কিস্তি সাপ্তাহিক পরিশোধ করা তার জন্য সুবিধাজনক ছিল।

FAQ: জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নোত্তর

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন কারা পেতে পারেন?

যে কোনো বাংলাদেশী নাগরিক, যার বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং নিয়মিত আয়ের উৎস রয়েছে, তারা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

লোন পেতে কত সময় লাগে?

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সাধারণত ৭-১৪ দিনের মধ্যে লোন প্রদান করা হয়।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোনের সুদের হার কত?

সুদের হার সাধারণত ২০-২৫% এর মধ্যে থাকে, যা প্রকল্পের ধরনের উপর নির্ভর করে।

কিস্তি পরিশোধ না করলে কী হবে?

কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্রেস পিরিয়ডের পর অতিরিক্ত জরিমানা বা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

নারীদের জন্য কি বিশেষ সুবিধা আছে?

হ্যাঁ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ প্রকল্প এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা রয়েছে।

লোনের জন্য কি গ্যারান্টার লাগবে?

কিছু ক্ষেত্রে গ্যারান্টারের প্রয়োজন হতে পারে, তবে এটি ঋণের ধরনের উপর নির্ভর করে।

লোকেশন ম্যাপ

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় যশোরে অবস্থিত। এছাড়াও, বাংলাদেশের ৫০টি জেলায় তাদের শাখা রয়েছে। আপনার নিকটস্থ শাখার ঠিকানা জানতে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা যোগাযোগ নম্বরে যোগাযোগ করুন।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের যোগাযোগের তথ্য

  • প্রধান কার্যালয়: ৪৬ মুজিব সড়ক, যশোর-৭৪০০
  • ই-মেইল: es@jcf.org.bd
  • ফোন: +৮৮০-৪২১-৬৮৮২৩
  • ওয়েবসাইট: www.jcf.org.bd

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করুন।

সতর্কতা

  • জালিয়াতির ঝুঁকি: জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নামে কোনো জালিয়াতি এড়াতে সরাসরি তাদের অফিসিয়াল শাখায় যোগাযোগ করুন।
  • পরিকল্পনা: ঋণ নেওয়ার আগে আপনার প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং পরিশোধ ক্ষমতা যাচাই করুন।

শেষ কথা ও পরামর্শ

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যায়ে কাজ করে থাকে। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি করা ও নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকা। প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে  আজ আমরা আপনাকে “জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন” লোন সম্পর্কে জানাতে পেরেছি।জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন আর্টিকেল সম্পর্কে যদি কোন জিজ্ঞেসা থাকে তাহলে আপনি নির্ধিধায় কমেন্ট করে জানাতে পারেন বা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *