আম্বালা ফাউন্ডেশন সম্পর্কে কম বেশি আমি ও আপনি নামটি পরিচিত। আম্বালা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো দরিদ্র ও নিম্ন-আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ১৯৯৪ সাল থেকে আম্বালা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুদ্রঋণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
আজকের এই আর্টিকেলে আজ আমরা আম্বালা ফাউন্ডেশনের লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়া আলোচনাতে রয়েছে আম্বালা ফাউন্ডেশনে কী ধরনের লোন পাওয়া যায়,এর যোগ্যতা, সুবিধা, অসুবিধা ও যোগাযোগের তথ্য। আপনি যদি আর্থিক সহায়তার অনুসন্ধান করে থাকেন থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আম্বালা ফাউন্ডেশন কী?
আম্বালা ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যা ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিতা লাভ করে । এটি মাইক্রোফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট (MFI) হিসেবে MRA (মাইক্রোফাইন্যান্স রেগুলেটরি অথরিটি) দ্বারা স্বীকৃত এবং PKSF (পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন) ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার অর্থায়নে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য বিমোচন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং সামাজিক উন্নয়ন। বর্তমানে আম্বালা ফাউন্ডেশন দেশের ১৯টি জেলায় ২০১টি শাখার মাধ্যমে কাজ করছে, যেখানে ৬০,০০০-এর বেশি সদস্য তাদের ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা গ্রহণ করছেন। প্রতিনিয়ত আম্বালা ফাউন্ডেশন এর পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষের উন্নতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন কী?
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন হলো ক্ষুদ্রঋণ প্রোগ্রাম। যা মূলত নিম্ন-আয়ের ব্যক্তি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং নারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই লোনের মাধ্যমে ছোট ব্যবসা শুরু, কৃষি কার্যক্রম, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আম্বালা ফাউন্ডেশন তাদের সদস্যদের জন্য সহজ শর্তে এবং কম সুদে লোন প্রদান করে। যা দারিদ্র্যের চক্র ভাঙতে বেশ সাহায্য করে।
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোনের প্রকারভেদ
আম্বালা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন ধরনের লোন প্রোগ্রাম অফার করে। যা বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। নিচে কিছু জনপ্রিয় লোনের প্রকার উল্লেখ করা হলো:
- ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক লোন: ছোট ব্যবসা শুরু বা সম্প্রসারণের জন্য।
- কৃষি লোন: কৃষকদের জন্য বীজ, সার, এবং সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য।
- নারী উদ্যোক্তা লোন: নারীদের আত্মনির্ভরশীল করতে বিশেষ লোন।
- শিক্ষা লোন: শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে।
- জরুরি লোন: স্বাস্থ্য বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে।
আরও জানতে পারেনঃ অংকুর পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র লোন (আপডেট তথ্য)
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন: কত টাকা পাওয়া যায়?
আম্বালা ফাউন্ডেশনের লোনের পরিমাণ সাধারণত ১০,০০০ টাকা থেকে ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি লোনের ধরন এবং আবেদনকারীর যোগ্যতার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত প্রথমবারের জন্য ছোট পরিমাণে লোন দেওয়া হয়। সফলভাবে পরিশোধের পর বড় লোনের জন্য আবেদন করা যায়। তবে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী লোনের অর্থের পরিমান কম বা বেশি হতে পারে।
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোনের যোগ্যতা
অন্যান্য এনজিও এর ন্যায় আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন পেতে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। নিচে প্রধান শর্তগুলো দেওয়া হলো:
- বয়স: আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- নাগরিকত্ব: বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- আয়: নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে বা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা থাকতে হবে।
- গ্রুপ সদস্যতা: কিছু ক্ষেত্রে আম্বালা ফাউন্ডেশনের সঞ্চয় গ্রুপে সদস্য হতে হয়।
- ক্রেডিট ইতিহাস: অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লোনের জন্য আবেদন করতে নিচের কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আয়ের প্রমাণ (ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বা বেতনের সনদ)
- ঠিকানার প্রমাণ (ইউটিলিটি বিল বা ভোটার আইডি)
- গ্রুপ সদস্যতার সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)।
সকল কাগজপএ যদি সঠিক হয় ও ললোনের জন্য উপযুক্ত হলে দ্রুত লোন পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন হলে আপনাকে আম্বালা ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এ বিষয়ে সাহায্য করবেন।
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোনের সুদের হার
আম্বালা ফাউন্ডেশনের সুদের হার সাধারণত ১০% থেকে ১৮% এর মধ্যে থাকে। যা বাংলাদেশ ব্যাংক ও MRA-এর নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। সুদের হার লোনের ধরন, পরিমাণ এবং পরিশোধের সময়ের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক লোনের সুদের হার সাধারণত ১২-১৮% হয়। যা সরল সুদ হিসেবে গণনা করা হয়। তবে সুদের হার পরিবর্তনশীল সেহেতু আম্বালা ফাউন্ডেশনের শাখা অফিস থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
লোন পরিশোধের নিয়ম
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন পরিশোধের জন্য নমনীয় কিস্তি ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত:
- কিস্তির ধরন: সাপ্তাহিক, মাসিক, বা ত্রৈমাসিক কিস্তি।
- পরিশোধের সময়: ৬ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত।
- বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ: আম্বালা ফাউন্ডেশন বিকাশের সাথে চুক্তির মাধ্যমে সদস্যদের জন্য যেকোনো সময় ও যেকোনো স্থান থেকে কিস্তি পরিশোধের সুবিধা দিয়েছে।
বিকাশের মাধ্যমে লোন পরিশোধ করার নিয়ম
বিকাশের মাধ্যমে লোন পরিশোধ করার জন্য আপনাকে যে সকল ধাপ অনুসরণ করতে হবে তা নিন্মরূপ:
- বিকাশ অ্যাপ অপেন করুন।
- মাইক্রোফাইনান্স অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- “আম্বালা ফাউন্ডেশন” অপশনটি বেছে নিন।
- আপনার সদস্য নম্বর বা সদস্য কোড প্রদান করুন।
- এগিয়ে যান বাটনে প্রেস করুন।
- লোন পরিশোধ এর কিস্তির পরিমান ও সঞ্চয় প্রদান করে আপনি এগিয়ে যান বাটনে প্রেস করে ট্যাপ করে ধরে রাখুন।
ভিডিওঃ
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোনের সুবিধা
- সহজলভ্যতা: নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য সহজ শর্তে লোন।
- নমনীয় কিস্তি: সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তির সুবিধা।
- নারী ক্ষমতায়ন: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ লোন প্রোগ্রাম।
- বিকাশ পেমেন্ট: ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে সহজে কিস্তি পরিশোধ।
- সামাজিক উন্নয়ন: লোনের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান।
আরও জানতে পারেনঃ আশ্রয় এনজিও লোন (আপডেট তথ্য)
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোনের অসুবিধা
- সীমিত কভারেজ: শুধুমাত্র নির্দিষ্ট জেলায় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আপনার এলাকায় এই এনজিওটি নাও থাকতে পারে।
- গ্রুপ সদস্যতা: কিছু লোনের জন্য গ্রুপে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক।
- সুদের হার: ব্যাংকের তুলনায় সুদের হার কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে সুদের হার পরিবর্তনশীল এক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করুন সঠিক সুদের হার জানতে।
- কাগজপত্র: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া কিছু মানুষের জন্য জটিল হতে পারে। তবে আমাদের ধারনা অনুযায়ী এটি সহজ একটি প্রক্রিয়া। সীমিত কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে এখানে।
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোনের তুলনা (ছক)
বিষয় | আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন | ব্যাংক লোন | অন্যান্য এনজিও লোন |
সুদের হার | ১০-২৫% | ৮-১৫% | ১০-২৫% |
লোনের পরিমাণ | ৫০০০-৫,০০,০০০ টাকা | ৫০,০০০-৫০,০০,০০০ টাকা | ৫,০০০-১,০০,০০০ টাকা |
পরিশোধের সময় | ৬ মাস-৩ বছর (জেনে নিন সঠিকভাবে) | ১-৭ বছর | ৬ মাস-২ বছর |
যোগ্যতা | নিম্ন-আয়, গ্রুপ সদস্যতা | উচ্চ আয়, জামানত | নিম্ন-আয়, গ্রুপ সদস্যতা |
প্রক্রিয়াকরণ সময় | ১-২ সপ্তাহ | ১ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহ | ১-২ সপ্তাহ |
বাস্তব উদাহরণ
রিনা বেগম, কুমিল্লার একজন গৃহিণী, আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন ব্যবহার করে একটি ছোট মুদি দোকান শুরু করেছেন। তিনি ৫০,০০০ টাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক লোন নিয়েছিলেন এবং সাপ্তাহিক কিস্তির মাধ্যমে তা পরিশোধ করছেন। এই লোনের মাধ্যমে তিনি তার পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করেছেন এবং এখন তার দোকান থেকে মাসে ১৫,০০০ টাকা আয় করছেন। এছাড়াও, আম্বালা ফাউন্ডেশনের ‘স্বপ্নযাত্রা’ প্রকল্পের মাধ্যমে তার মেয়ের পড়াশোনার খরচও বহন করা হচ্ছে।
আরও জানতে পারেনঃ আশা এনজিও লোন পদ্ধতি (আপডেট তথ্য)
FAQ: আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন কারা পেতে পারেন?
যে কোনো বাংলাদেশী নাগরিক, যার বয়স ১৮-৬০ বছর এবং নিয়মিত আয়ের উৎস বা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আছে, তারা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।
লোন পেতে কত সময় লাগে?
সাধারণত আবেদন জমা দেওয়ার পর ১-২ সপ্তাহের মধ্যে লোন প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয়।
সুদের হার কত?
লোনের ধরনের ওপর নির্ভর করে সুদের হার ১০-২৫% এর মধ্যে থাকে, যা সরল সুদ হিসেবে গণনা করা হয়।
কিস্তি পরিশোধের জন্য কি বিকাশ ব্যবহার করা যায়?
হ্যাঁ, আম্বালা ফাউন্ডেশন বিকাশের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধের সুবিধা প্রদান করে।
লোনের জন্য কি জামানত প্রয়োজন?
না, আম্বালা ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণের জন্য সাধারণত জামানতের প্রয়োজন হয় না, তবে গ্রুপ সদস্যতা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
কোন কোন জেলায় লোন পাওয়া যায়?
আম্বালা ফাউন্ডেশন বর্তমানে ঢাকা, কুমিল্লা সহ ১৯টি জেলায় তাদের শাখার মাধ্যমে লোন প্রদান করে।
লোনের আবেদন প্রক্রিয়া কীভাবে শুরু করব?
নিকটস্থ আম্বালা ফাউন্ডেশন শাখায় যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
আম্বালা ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ তথ্য
আপনি যদি আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন সম্পর্কে আরও জানতে চান বা আবেদন করতে চান, তাহলে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন:
- প্রধান কার্যালয়: জামিলা আইনুল উচ্চ বিদ্যালয়, খিলজী রোড, ব্লক বি, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
- ই-মেইল: info@ambalafoundation.org
- ওয়েবসাইট: ambalafoundation.org
- হটলাইন: যোগাযোগের জন্য নিকটস্থ শাখায় যান বা ওয়েবসাইটে বিস্তারিত দেখুন।
- ফেসবুক পেইজঃ আম্বালা ফাউন্ডেশন
- লিংকডইনঃ আম্বালা ফাউন্ডেশন
সতর্কতা
- খেলাপি ঋণ এড়িয়ে চলুন: লোন নেওয়ার আগে নিশ্চিত করুন যে আপনি কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।
- কাগজপত্র যাচাই: সঠিক ও বৈধ কাগজপত্র জমা দিন।
- শর্তাবলী পড়ুন: লোনের শর্তাবলী ভালোভাবে বুঝে নিন।
- জালিয়াতি থেকে সাবধান: শুধুমাত্র আম্বালা ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল শাখা বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করুন।
আরও জানতে পারেনঃ কোডেক এনজিও লোন পদ্ধতি (আপডেট তথ্য)
শেষ কথা ও পরামর্শ
আম্বালা ফাউন্ডেশন লোন বাংলাদেশের নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য একটি দারুণ সুযোগ। এটি শুধু আর্থিক সহায়তাই নয়, বরং সামাজিক উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরতার পথও খুলে দেয়। তবে লোন নেওয়ার আগে আপনার আর্থিক সক্ষমতা এবং পরিশোধের পরিকল্পনা বিবেচনা করুন। আপনি যদি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে বা জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে চান, তাহলে আজই নিকটস্থ আম্বালা ফাউন্ডেশন শাখায় যোগাযোগ করুন। আপনার স্বপ্ন পূরণের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে এই লোন!
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাইলে নিচে কমেন্ট করুন। আমরা আপনার জন্য আরও তথ্য নিয়ে আসব!